ফেইসবুক ফেইক আইডি সনাক্ত করার কিছু সহজ টিপস।


ফেইসবুক ফেইক আইডি (Facebook Fake ID) বর্তমানে এটা নতুন কিছু নয়। ফেইসবুকের জন্ম লগ্ন থেকেই ফেইক আইডির প্রচলন রয়েছে। বর্তমানে ফেইসবুকে মোট একাউন্ট গুলোর মধ্যে প্রায় ২০-৩০% ই হল ফেইক এবং এই সংখ্যা প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আসলে ফেইসবুকে ফেইক আইডি খোলা হয় মূলত স্প্যাম (Spam) করার জন্য।
এমন কি ফেইসবুকের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ানোর জন্যে ও মেয়েদের নামে ফেইক আইডি খোলা হয়ে থাকে। আর ফেইক আইডি গুলোর মধ্যে শতকরা প্রায় ৯৯% এই হল মেয়েদের নামে। এই আইডি গুলোতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে অপরিচিত মেয়েদের ছবি।
Facebook এর জন্য একটি দুঃখের বিষয় হল যে, ফেইসবুক ম্যনুয়ালি ফেইক ফেসবুক একাউন্ট সনাক্ত করতে পারে না। তবে হে, ওরা যদি বুঝতে পারে যে একটি একাউন্ট ফেইক, তখন তারা সেটি ব্লক/ডিলিট করে দেয়। কয়েকটি কারনে ওরা একটি একাউন্টকে ফেইক একাউন্ট হিসেবে সনাক্ত করতে পারে। সেগুলো হলঃ
1. অতিরিক্ত ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠানো।
2. অপরিচিত লোকদের ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠানো।
3. অতিরিক্ত লিঙ্ক পোষ্ট করা।
4. স্প্যাম কমেন্ট করা (Spam Comment)।
5. ইনবক্সে লিংক শেয়ার করা ইত্যাদি।
উপরক্ত কারনে একটি একাউন্টকে ফেইসবুক ফেইক একাউন্ট হিসেবে সনাক্ত করে। এগুলোর করার পর আপনি যখন লগ-আউট (Log Out) করে আবার যখন লগ-ইন (Log In) করবেন তখন তারা "Photo Verification" দিবে। আর এভাবেই ফেইসবুক একটি একাউন্টকে ফেইক না রিয়েল তা সনাক্ত করে থাকে।
এতো কিছুর পরে ও ফেইসবুক ফেইক একাউন্ট রোধ করতে পারে না। তাই আজকে এই পোষ্টটির মাধ্যমে আমরা কিভাবে একটি ফেইক আইডি সনাক্ত করা যায় সেটি জানবো।
ফেইক আইডি সনাক্ত করার প্রথম উপায় ই হল প্রোফাই ফটো। আপনি একটি আইডির প্রোফাইল ফটো দেখেই বুঝতে পারবেন এইডি টি ফেইক না রিয়েল। তবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে একটু মাথা খাঁটাতে হবে। যদি আপনার মনে সংকুচ থাকে তাহলে আপনি Google Image Search এর মাধ্যমে ও এইডি টি ফেইক না রিয়েল সেটি যাচাই করতে পারবেন। যে আইডি টি নিয়ে আপনার সংকুচ প্রথমে সেই আইডির প্রোফাইল ফটো টি কম্পিউটার বা মোবাইলে সেভ করুন। তার পর Google Image এই লিঙ্ক এ ঢুকে Camera Icon এ ক্লিক করে সেভ করা ছবি টি আপলোড করুন। দেখবেন এই ছবি দিয়ে যাবতীয় যা কিছু আছে সব কিছু বের হয়ে আসবে।
ফেইসবুক টাইমলাইনের মাধ্যমে একটি আইডির সম্পর্কে সব কিছু জানা যায়। About ট্যাবে গিয়ে আপনি দেখতে পারবেন। বেশীর ভাগ ফেইক আইডির Gender Female দেওয়া থাকে। তার মানে এই না যে সব Female আইডিই ফেইক।
অনেক ফেইক আইডিতেই প্রোফাইল ফটো হিসেবে একটি ফটো দেওয়া থাকে। আপনি তাদের ফটো ফোল্ডারে ঢুকে মাত্র ২-৩টি ফটো দেখতে পারবেন। তার মানে ধরে নিতে পারেন এটা ফেইক।
যদি দেখেন বড় কোন সেলেব্রেটির ছবি দিয়ে প্রোফাইল ফটো দেওয়া তাহলে ও ধরে নিতে পারেন এটা ফেইক।
টাইমলাইনের About ট্যাবে দেখবেন সব তথ্য পুরোপুরি ভাবে যোগ করা না।
নিয়মিত স্ট্যাটাস আপডেট না দেওয়া।
ফ্রেন্ডলিষ্ট ফুলফিল থাকে।
স্ট্যাটাসে বেশী লাইক পাওয়া। ইত্যাদি একটি ফেইক একাউন্ট এর লক্ষন।
আগে বলা হয়েছে, ৯৯% ফেইক একাউন্ট খোলা হয় মেয়েদের নামে। তাই বলে সব মেয়ের প্রোফাইল ই ফেইক না এটা ও আগেই বলেছি। যদি কোন মেয়ের প্রোফাইলে ২ নাম্বার ধাপের সবগুলো বৈশিষ্ট দেখতে পান, তা হলে চোখ বুজে ধরে নিতে পারেন এটা ফেইক। অনেকগুলো ফলোয়ার, ফ্রেন্ডলিনষ্ট ফুল থাকা, লাইক/কমেন্ট বেশী পাওয়া ইত্যাদির কারনে মেয়ে প্রোফাইল ফেইক হয়ে থাকে।
এটি একটি মজার বিষয়। ফেইক আইডি গুলোর মধ্যে অধিকাংশই তাদের জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি দিয়ে থাকে। এটি ও আপনি ফেইক একাউন্ট হিসেবে ধরে নিতে পারেন। কারণ তারা মনে করে যে, ১ জানুয়ারি বছরের শুরু। লোকে যেন তাদের জন্মদিনের শুভেচ্ছা একটু অন্য রকম ভাবে দেয়। সেজন্য তারা ১ জানুয়ারি তাদের জন্ম তারিখ দিয়ে থাকে। আরেকটি কারণ হল, ফেইক আইডি খোলার সময় অনেকে অনিচ্ছাকৃত ভাবে ১ জানুয়ারি তাদের জন্ম দিন দিয়ে থাকে।
আরো অনেক গুলো কারণ রয়েছে একটি ফেইক আইডি চেনার। আপনি যদি আইডি টি ওপেন করে একটু মাথা খাটান, তাহলেই বুঝতে পারবেন যে আইডিটি ফেইক কিনা রিয়েল। যাই হৌক আজ এপর্যন্তই। ফেইক আইডি হতে সবাই সাবধান থাকবেন।
আমাদের এই পোষ্টি ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমাদের সৈয়দপুর সমুদ্র সৈকতে সন্ধ্যার পর দেখা মিলছে নানা হরিণের বিচরণ।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লিলা ভূমি আমাদের সৈয়দপুর সমুদ্র সৈকত।

চট্রগ্রাম সিতাকুন্ড সৈয়দপুর এর নামকরণ।